শফিক আজাদ, সীমান্ত থেকে ফিরে :
মিয়ানমার থেকে সহিংসতার মূখে জীবন বাঁচাতে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করে এপারে চলে আশা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার নামে ব্যবসায় নেমেছে একটি স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। তবে এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন উখিয়ার কুতুপালং, বালূখালী, থাইংখালী এবং সীমান্তের জিরো পয়েন্ট ঘুমধুম জলপাইতলি ও তুমব্রু পাশ্চিমকূল জিরো পয়েন্ট ঘুরে রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে সর্বস্বহারা রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিতে উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালীর ঢালায় বনবিভাগের জায়গায় ঝুপড়ি নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজী করে দিয়েছে। থাইংখালীর ঢালায় আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের মিজ্জালিপাড়ার বাসিন্দা আবুল কাশেম (৫৮) জানান আমি অনেক কষ্ট করে ১০হাত দীর্ঘ ৬হাত প্রস্ত জায়গা নিয়ে ঝুপড়ি নির্মাণের চেষ্টা করলে অপরিচিত কয়েক যুবক এসে আমার নিকট থেকে টাকা দাবী করে। এই অভিযোগ ওই পাহাড়ে অবস্থানকারী আরো কয়েকজন রোহিঙ্গাদের। এছাড়াও কুতুপালং বস্তি, তুমব্রু পশ্চিমকূলে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের নিকট থেকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে চাঁদা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একে জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন রোহিঙ্গাদের হয়রানী অথবা ঠকানোর কোন অভিযোগ পেলে আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্ণেল মনঞ্জুরুল হাসান খান বলেন সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: